জানুয়ারিতে ফেল। মে মাসে পাশ।
অবশেষে ‘স্মার্ট সিটি’ হলো নিউ টাউন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এম বেঙ্কাইয়া নায়ডু স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্পে আরও ১৩টি শহরের নাম ঘোষণা করেন। তার মধ্যে নাম রয়েছে এ রাজ্যের নিউ টাউনের।
স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্পে প্রাথমিক বাছাই করা মোট ৯৮টি শহরের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রথম ধাপে সুযোগ পেয়েছিল ২০টি শহর। এ রাজ্য থেকে প্রতিযোগী কোনও শহরই ২০-র তালিকায় ঢুকতে পারেনি। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিদায়ী পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অবশ্য সে সময়ে জানিয়েছিলেন যে, পরবর্তী ধাপে নিশ্চিত ভাবেই এ রাজ্য এই প্রকল্পের সুযোগ পাবে। নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন এ দিন জানান, শুক্রবার থেকে ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু করছেন তাঁরা। এনকেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের ধাপে স্মার্ট সিটি বাছাইয়ের মাপকাঠির ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে শুধু তত্ত্ব এবং প্রযুক্তির উপরেই জোর দেওয়া হয়েছিল। বাকি শহরগুলি সেই সময়ে প্রয়োগের দিকটাতেই বেশি গুরুত্ব দেয়। এই ধাপে ভুল শুধরে নিয়ে তত্ত্ব ও প্রযুক্তির প্রয়োগে নাগরিকেরা কী ভাবে উপকৃত হবেন, তা-ও বলে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানান, ফাস্ট ট্র্যাক প্রতিযোগিতায় এই ধাপে সুযোগ পেয়েছে ১৩টি শহর। সেগুলি হলো— লখনউ, ওয়ারাঙ্গল, সিমলা, চণ্ডীগড়, রায়পুর, নিউ টাউন, ভাগলপুর, পানাজি, পোর্ট ব্লেয়ার, ইম্ফল, রাঁচি, আগরতলা এবং ফরিদাবাদ। প্রকল্পের প্রথম ধাপে সুযোগ না পাওয়ার পরে উন্নয়নের পরিকল্পনার দুর্বলতাগুলি শুধরে নিয়ে প্রতিটি শহরই গুণগত মানের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশেরও বেশি উন্নতি করেছে। উন্নয়নের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে লখনউ।
তবে এই প্রকল্পে এখনও বিধাননগর পুর-নিগম সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ প্রশাসনের একাংশ। আগের বার প্রথম ২০-তে সুযোগ না পাওয়ায় কারণ হিসেবে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন স্বয়ং মেয়র সব্যসাচী দত্ত। এ দিন অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘নিউ টাউন সুযোগ পেয়েছে। এটা অত্যন্ত আনন্দের। পরবর্তী ধাপে আশা করি বিধাননগরও সুযোগ পাবে।’’ এ বারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রতিযোগিতার বাছাইয়ে বিধাননগরের ঠাঁই হয়নি। জায়গা পায়নি এ রাজ্যের প্রতিযোগী শহর হলদিয়া এবং দুর্গাপুর-আসানসোলও। এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের নগরোন্নয় দফতরের প্রধান সচিব দেবাশিস সেন জানান, তিনটি শহরের পরিকল্পনার গুণগত মান বাড়ানোর দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment